প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন।
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়েন বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তাঁর সরকার বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত লি।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তার সরকারের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষত হাইটেক পার্কগুলোতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে।’
উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কুয়েন আইসিটি এবং ইলেকট্রনিক্সে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কোরিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে (আইসিটি) বাংলাদেশের ভবিষ্যত আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আইটি ব্যবসা শুরু করতে এবং এখানে আইসিটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে কাজ করছে।
লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ‘কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালে বাংলাদেশ তাঁর প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের ওপরে বজায় রেখেছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।’ বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাঁর সরকারও অংশীদার হতে চায়।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের আরও উত্তরণ ঘটানোই তার অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
সমগ্র জাতি যখন তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করছেন ঠিক এমন সময়ে তিনি বাংলাদেশে আসায় আনন্দ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।